,

নবীগঞ্জ থানায় ওসি আজিজুর রহমানের সাথে প্রতিবেদক

নবীগঞ্জ থানা পুলিশের অবদান

জাবেদ ইকবাল তালুকদার : গরমের দিনে সারাদিন যেখানে সাধারণ মানুষ এসির বাতাস উপভোগ করে অথবা ফ্যানের বাতাস উপভোগ করে সেখানে প্রখর রোদের মধ্যে রাস্তায় শান্তি শৃংখলা বজায় রাখতে কাজ করতে দেখা যায় নবীগঞ্জ থানা পুলিশের সদস্যদের। হার কাপানো শীতের সময় যখন আমরা বাসায় কম্বলের নিচ থেকে বের হতেই ইতস্তত বোধ করি সেই সময়েও মানুষের জান-মাল রক্ষার্থে রাস্তায় টহল দিতে দেখা যায় নবীগঞ্জ থানা পুলিশের সদস্যদের। নবীগঞ্জবাসীকে দাঙ্গা-হাঙ্গামা থেকে রক্ষা করতে, নবীগঞ্জের শান্তি শৃংখলা বজায় রাখতে ওসি আজিজুর রহমানের নেতৃত্বে নিরলস পরিশ্রম করে যাচ্ছে নবীগঞ্জ থানা পুলিশ। শুধু দিনেই নয় সারা দিন কাঠিয়ে রাতেও কাজ করছে নবীগঞ্জ থানা পুলিশ। ওসি আজিজুর রহমানের নেতৃত্বে নবীগঞ্জ থানার ওসি (তদন্ত) উত্তম কুমার দাশ, ওসি (ওপারেশন) আমিনুল ইসলাম, সেকেন্ড অফিসার এসআই সমীরন চন্দ্র দাশ, এসআই অমিতাভ দাশ তালুকদার, এসআই সামছুল ইসলাম, এসআই মহিউদ্দিন রতন, এসআই ফারুক, এসআই ফখরুজ্জামান, এসআই কামাল, এসআই আমির হামজা, এসআই আব্দুল ওয়াদুদ, এসআই হানিফ, এসআই শাহিন, এসআই মানিরুজ্জামান, এ এসআই আবেদ সহ থানার সকল পুলিশ সদস্যই পরিশ্রম করে যাচ্ছেন। মহামারি করোনা পরিস্থিতিতে যেখানে পুরোবিশ্ব ঘরবন্ধি ছিল সেখানে নবীগঞ্জ বাসীকে সুস্থ রাখার উদ্দেশ্যে করোনা যুদ্ধে যুদ্ধা হিসেবে কাজ করেছে নবীগঞ্জ থানা পুলিশ। শুধু ঘরবন্দি রাখতেই তারা কাজ করেনি রাতের আধারে মানুষের বাড়ি বাড়ি গিয়ে ত্রান বিতরণ করতেও দেখা গেছে নবীগঞ্জ থানা পুলিশ সদস্যদের। নিজ তহবিল থেকে অসহায়-মধ্যবিত্তদের মধ্যে ত্রান বিতরণ করেছেন ওসি মোঃ আজিজুর রহমান ।
উল্লেখ্য, নবীগঞ্জের গজনাইপুর ইউনিয়নে ৫০০ টাকা ধার নেওয়াকে কেন্দ্র করে প্রতিপক্ষের চুরিকাঘাতে ৬০ বছরের এক বৃদ্ধ নিহত হন। ওসি আজিজুর রহমানের নেতৃত্বে ঘটনার কয়েক ঘন্টার মধ্যেই ঘাতককে গ্রেফতার করা হয়।
মহামারি করোনা পরিস্থিাততে নবীগঞ্জ উপজেলার দেবপাড়া ইউনিয়নের বাশডর গ্রামের ২ পক্ষের মধ্যে যখন মারামারির জন্য উত্তেজনা বিরাজ করছিল তখন ওসি আজিজুর রহমানের নির্দেশে উত্তেজনা বিরাজ করার দিনই দাঙ্গা-হাঙ্গামা থেকে রক্ষার উদ্দেশ্যে গ্রাম থেকে উভয় পক্ষের বেশ কয়েকজন লোককে আটকে রাখা হয়। পরের দিন এলাকায় মারামারি হলেও ওসি আজিজুর রহমানের নির্দেশে গ্রামের লোকদের আটকে রাখায় অনেক বড় একটি সংঘর্ষ থেকে রক্ষা পায় নবীগঞ্জবাসী। পরে মারামারিতে এক বৃদ্ধ নিহত হলে অতিদ্রুত সময়ের মধ্যে হত্যাকারীদের গ্রেফতার করতে সক্ষম হয় নবীগঞ্জ থানা পুলিশ।
এএসপি পারভেজ আলম চৌধুরী ও নবীগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ মোঃ আজিজুর রহমানের প্রচেষ্টায় গত ১ আগস্ট নবীগঞ্জ উপজেলার করগাঁও ইউনিয়নে মেয়ে ও জামাতার হাতে মারা যাওয়া ছালেমা হত্যাকান্ডের ২৪ ঘন্টার মধ্যেই হত্যার মূল রহস্য উদঘাটনসহ হত্যার সাথে জড়িত আসামীদের গ্রেফতার করতে সক্ষম হয় নবীগঞ্জ থানা পুলিশ।
গত ১১ অক্টোবর নবীগঞ্জ উপজেলার করগাঁও ইউনিয়নে ফুফুর সহযোগীতায় ফুফার হাতে ধর্ষণ হয় এক তরুনী। থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করার মাত্র ২৪ ঘন্টার মধ্যেই ওসি আজিজুর রহমানের নির্দেশে ওসি (ওপারেশন) আমিনুল ইসলামের নেতৃত্বে গুমগুমিয়া গ্রাম থেকে অভিযুক্ত স্বামী-স্ত্রীকে গ্রেফতার করে নবীগঞ্জ থানা পুলিশ।
গত ১৪ অক্টোবর নবীগঞ্জ থানার ওসি আজিজুর রহমানের নির্দেশে সারারাত ব্যাপি অভিযান চালিয়ে ওসি (ওপারেশন) আমিনুল ইসলাম, সেকেন্ড অফিসার এসআই সমীরন চন্দ্র দাশ, এসআই অমিতাভ দাশ তালুকদার, এসআই সামছুল ইসলাম, এসআই মহিউদ্দিন রতন, এসআই আমির হামযা ও এসআই ফখরুজ্জামানসহ থানা পুলিশের কয়েকটি টিম পৃথক অভিযান পরিচালনা করে ৩ শীর্ষ ডাকাত, ওয়ারেন্টভুক্ত ৫ আসামী, ২ চুর ও নিয়মিত মামলার ১ আসামীসহ ১১ আসামীকে গ্রেফতার করতে সক্ষম হয়েছে নবীগঞ্জ থানা পুলিশ।
শুধু এসবই নয় প্রায় প্রতিদিনই ওয়ারেন্টভুক্ত আসামী, চুর, ডাকাত, মাদক ব্যবসায়ীসহ সকল ধরনের আসামী এবং অপরাধীদের গ্রেফতার করতে অভিযান চালাচ্ছে নবীগঞ্জ থানা পুলিশ।
এ ব্যাপারে নবীগঞ্জ থানার ওসি আজিজুর রহমানের সাথে এ প্রতিবেদকের কথা হলে তিনি বলেন, আমাদের কাজ হল এলাকায় শান্তি শৃঙ্খলা বজায় রাখা, ধাঙ্গা-হাঙ্গামা থেকে এলাকাকে রক্ষা করে। কোন ভুক্তভোগী কোন বিষয়ে অভিযোগ নিয়ে আসলে তা খতিয়ে দেখে তাকে আইন অনুযায়ী সেবা দেওয়া। আমরা শুধুমাত্র আমাদের দায়িত্ব পালন করে যাচ্ছি। যতটুকু পারি জনগণকে আমরা আমাদের সর্বোচ্চ সহযোগীতা দেওয়ার চেষ্টা করি।


     এই বিভাগের আরো খবর